সপ্তম শ্রেণির ১৯ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ও সমাধান

৭ম শ্রেণীর  ১৯ তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ । আজকে আমার দেখবো সপ্তম শ্রেণীর ১৯ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা,  অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর। বাংলাদেশের সকল জেলার শিক্ষার্থীরা সপ্তম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট উত্তরপত্র নিয়ে আলোচনা। ০৫ অক্টোবর ২০২১ ৭ম শ্রেণীর ১৯ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা Assignment প্রকাশ করা হয়েছে

৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন সমাধান ও উত্তরপত্র ২০২১

সপ্তম শ্রেণির সকল পরিক্ষার্থীদের জন্য 19 তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করেছে। সপ্তম শ্রেণির ১৯ সপ্তাহ, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন Download করতে নিচের Download বাটন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণির সকল পরিক্ষার্থীদের জন্য 19 তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ১৯ সপ্তাহ, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন Download করতে নিচের Download বাটন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণির সকল পরিক্ষার্থীদের জন্য 19 তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ১৯ সপ্তাহ, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন Download করতে নিচের Download বাটন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

Download Button

সপ্তম (৭ম ) শ্রেণির ১৯তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্টের উত্তর আমরা প্রতিটি বিষয়ের জন্য ধাপে ধাপে নিচে আলোচনা করবো

আরো পড়ুনঃ সপ্তম শ্রেণির ১৯ সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ও সমাধান

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর  নিচে উত্তর দেখুন

অ্যাসাইনমেন্ট শুরু

একটি আদর্শ সমাজ গঠনের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে

সদাচরনঃ

সদাচরণ মানব জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূষণ। সদাচরণ বলতে বুঝায় সমাজের অন্য মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার না করা যাতে তাদের মনে কষ্ট দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে আন্তরিক সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা।মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাঝে যে উত্তম আচরণ ও উন্নত স্বভাব চরিত্রের প্রকাশ পায় তাকে সদাচরণ বলে। যেমন : ধৈর্য, সততা, দেশপ্রেম, সমাজসেবা, পরমতসহিষ্ণুতা, ন্যায়পরায়ণতা প্রভৃতি।

পরােপকারঃ

মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হলে পরােপকারী হতে হবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাড়ানাে, সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্ব।

পরােপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তােমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তােমাদের উদ্ভব ঘটানাে হয়েছে। তােমরা ভালাে কাজের নির্দেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে।' (সুরা-৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১১০)। এ বিষয়ে বিশ্বনবী (সা.) বলেন, তােমরা জগদ্বাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের মালিক আল্লাহ তাআলা তােমাদের প্রতি সদয় হবেন।' (তিরমিজি: ১৮৪৭)।

মানুষের আদর্শ গুণাবলির অন্যতম হচ্ছে পরােপকার। একে অপরের সহযােগিতা ছাড়া জীবন যাপন করা কঠিন। যখন কোনাে সমাজে একে অপরের প্রতি সহযােগিতা হ্রাস পায়, সে সমাজের মানুষ সব দিক দিয়েই পিছিয়ে পড়ে। সে সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, শান্তি বিলুপ্ত হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবােধ ও ভালােবাসা তিরােহিত হয়।

শালীনতা অপরিহার্য:

শালীনতা মানুষের একটি মহৎগুণ। এটির গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতাবােধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। শালীনতা আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার-ব্যবহারে শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে। শালীন পােশাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্যের প্রতীক। শালীন ও ভদ্র আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতার প্রয়ােজন সর্বাধিক। শালীনতাপূর্ণ আচার-ব্যবহার সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের চাবিকাঠি। অশােভন বা অশালীন পােশাক-পরিচ্ছদ ও আচরণ অনেক সময় সমাজে বিপর্যয় ডেকে আনে, সমাজে অশান্তির সৃষ্টি করে। নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটায়।

শালীনতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পক্ষান্তরে অভদ্র বা অশালীন আচরণ বন্ধুকেও দূরে ঠেলে দেয়। মানুষ অশালীন ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। তার সাহচর্য পরিত্যাগ করে। মহানবি (স.) বলেন, 'মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লােকেরা। তাকে পরিত্যাগ করে।' (বুখারি) অশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা কখনােই পছন্দ করেন না। বরং অশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা ঘৃণা করেন। এ সম্পর্কে মহানবি (স.)-এর বাণীঃঅর্থ : 'নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা অশালীন ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন।' (তিরমিযি)।

শালীনতা মানুষের জীবনে অপরিহার্য বিষয়। মহান আল্লাহ আমাদেরকে শালীনতা শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা লুকমানে উল্লেখ আছে যে, হযরত লুকমান (আ.) তাঁর পুত্রকে শালীনতা শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন

শালীনতা মানুষের জীবনে অপরিহার্য বিষয়। মহান আল্লাহ আমাদেরকে শালীনতা শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা লুকমানে উল্লেখ আছে যে, হযরত লুকমান (আ.) তাঁর পুত্রকে শালীনতা শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন,

"হে পুত্র, অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করাে না। পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে চলাে না, কারণ আল্লাহ কোনাে উদ্ধত অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না। তুমি পদচারণ করবে সংযতভাবে এবং তােমার কণ্ঠস্বর নিচু করবে। নিশ্চয়ই ঘরের মধ্যে গাধার সর সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।" (সূরা লুকমান, আয়াত ১৯)

শালীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শালীনতা অবলম্বন করে চলা উচিত। এতে জীবন সুন্দর ও মধুময় হয়ে ওঠে। সমাজেও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আমানতের বাস্তবায়নঃ

আমানত অর্থ গচ্ছিত রাখা বা দায়িত্বে রাখা। গচ্ছিত বা দায়িত্বে রাখা বস্তু সযত্নে রেখে এর মালিকের কাছে যথাযথভাবে ফেরত দেওয়াকে আমানত রক্ষা বলে। যিনি আমানত রক্ষা করেন, তাকে। আমানতদার বলে। আমানতের মাল নষ্ট করা বা আত্মসাৎ করার নাম খেয়ানত করা। আর আত্মসাৎকারীকে খেয়ানতকারী বলে। সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব তার নিকট পবিত্র আমানত। সামাজিক শান্তি রক্ষার জন্য আমানত রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যিনি আমানত রক্ষা করেন, তাকে সবাই বিশ্বাস করে এবং ভালােবাসে। সমাজের সবাই তাকে মর্যাদা দেয়। আমানতের খেয়ানতকারীকে সমাজের কেউ পছন্দ করে না এবং বিশ্বাসও করে না। বরং তাকে সবাই ঘৃণা করে।

শ্রম ও শ্রমিকের মূল্যায়নঃ

ইসলামে শ্রমের মর্যাদা অত্যধিক। শ্রম দ্বারা অর্জিত খাদ্যকে ইসলাম উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং জীবিকা অন্বেষণকে ইবাদত হিসেবে ঘােষণা করেছে।

এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেন, 'ফরজ ইবাদতের পর হালাল বুজি উপার্জন করা একটি ফরজ ইবাদত।' (বায়হাকি)
মানুষের কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ এ পৃথিবীতে অফুরন্ত সম্পদ রেখেছেন। এ সম্পদগুলাে আহরণ করতে হলে প্রয়ােজন হয় শ্রমের। শ্রমের জন্য প্রয়ােজনীয় উপাদানগুলােও আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টিগতভাবেই দান করেছেন। এগুলাে হচ্ছে আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তথা হাত, পা ও মস্তিষ্ক।


মানুষের কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ এ পৃথিবীতে অফুরন্ত সম্পদ রেখেছেন। এ সম্পদগুলাে আহরণ করতে হলে প্রয়ােজন হয় শ্রমের। শ্রমের জন্য প্রয়ােজনীয় উপাদানগুলােও আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টিগতভাবেই দান করেছেন। এগুলাে হচ্ছে আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তথা হাত, পা ও মস্তিষ্ক। এগুলােকে কাজে লাগাতে মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “তিনি তাে তােমাদের জন্য ভূমি সুগম করে দিয়েছেন। কাজেই তােমরা এর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তার দেওয়া ৱিষিক থেকে আহার কর।" (সূরা আল-মু , আয়াত ১৫)


আমাদের প্রিয় নবি (স.) শ্রমকে ভালােবাসতেন। তিনি নিজেও শ্রমে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি শিশু বয়সে মেষ চরাতেন। বড় হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। হিজরতের পর মদিনার জীবনে তিনি বিভিন্ন যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন খন্দকের যুদ্ধে পরিক্ষা খননে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরিশ্রমী ব্যক্তি কে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন।

একটি আদর্শ সমাজ গঠনের এলাকায় উন্নয়নে উপরোক্ত বিষয়গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

অ্যাসাইনমেন্ট শেষ
সর্তকতা: এই অ্যাসাইনমেন্ট শুধু নমুনা উত্তর। শিক্ষার্থীরা অব্যশই নিজে থেকে এসাইনমেন্ট এর উত্তর লেখবে

AnswerXam সবসময় সবার আগে শিক্ষা তথ্য চাকরির খবর প্রকাশ করে থাকে। যেকোনো বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর আপডেট, প্রতিদিনের চাকরির খবর, শিক্ষা নিউজ, স্কুল-কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ পেতে আমাদের ফেসবুকে পেইজে লাইক দিয়ে ক্লাসেসবিডির সাথেই থাকুন।

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

Previous Post Next Post